n/a

ছবিঃ সুস্বাস্থ্য এর জন্য পুষ্টিকর খাবার.

2023-08-11 06:17:25

সুস্বাস্থ্য এর জন্য পুষ্টিকর খাবার

পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সহজলভ্য ও পুষ্টিকর খাবারগুলো মধ্যে কিন্তু কিছু খাবার আছে যেগুলো অনেক বেশি পুষ্টিগুন সম্পন্ন। এ খাবার গুলোকে ব্যালেন্সড ফুড বলা হয়। অর্থ্যাৎ এই ধরনের পুষ্টিকর খাবারগুলো আমাদের দেহের অধিকাংশ পুষ্টির যোগান দিতে সক্ষম। সুস্বাস্থ্য এর জন্য পুষ্টিকর খাবার অতন্ত জরুরি। সকালের নাস্তা দুপুরে খাবার ও রাতের খাবার সময় মত খাওয়া অতন্ত জরুরি। সুস্বাস্থ্য এর জন্য পুষ্টিকর খাবার অতন্ত জরুরি। সকালের নাস্তা দুপুরে খাবার ও রাতের খাবার সময় মত খাওয়া অতন্ত জরুরি।
পুষ্টিকর খাবার শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। তাই সঠিক পরিমাণে সুষম খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন।শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদানের সবগুলোই কিন্তু পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের খাবার থেকে।যেমন :

আতা ফল:আতাফলে আছে ভিটামিন এ, বি১ ,বি২, সি, প্রাকৃতিক চিনি এবং পটাশিয়াম ।এছাড়াও ডিম, দুধ, মাংস, কলিজা থেকে পাবেন প্রয়োজনীয় ভিটামিন বি। সুস্থ ও কর্মক্ষম ,হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে ভিটামিন বি।


মিষ্টিকুমড়ার বীজ: পাকা বা কাঁচা যেকোনো মিষ্টিকুমড়ার বীজের গুণের শেষ নেই। মিষ্টিকুমড়ার বীজের মধ্যে আয়রন এবং ম্যাঙ্গানিজের পাওয়া যায়। আয়রন শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।পালং শাক, ওটমিল, মুরগির মাংস, তরমুজ,ডাল, কলিজা, কলিজা, ডিমের কুসুম,ডাল, মাছ, সিমের বিচি থেকে পাওয়া যায় প্রয়োজনীয় আয়রন। শরীরের অক্সিজেন সাপ্লাই থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা দেখা দিতে পারে আয়রনের অভাবে।


বাধাকপি: বাধাকপি পুষ্টিগুণে ভরপুর। লাল বাধাকপিতে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে।


সামুদ্রিক মাছ: সামুদ্রিক কৈ বা পোয়া, কড মাছ, নীল পাখনার টুনা,ইল সামুদ্রিক চিতল বিভিন্ন ধরনের স্যামনে উচ্চমাত্রার পুষ্টিগুণ রয়েছে।


অ্যামন্ড ও আখরোট: বাদাম সবচেয়ে পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ খাবারের তলিকায় রয়েছে ।অনেকে মনে করে থাকেন যে চর্বিজাতীয় খাবার যত এড়িয়ে চলা যায়, বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। ফ্যাটি এসিডের সবচেয়ে ভালো উৎস এটি। তবে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি খাবার সুস্থতার জন্য খুব বেশি প্রয়োজনীয়।। হার্ট এবং ডাইয়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাদামের জুড়ি নেই ।


চিয়া সিড বা তিসি:তিসি বীজে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ডায়েটারি ফাইবার, প্রোটিন।শরীরের কোষ,টিস্যু ও মাংসপেশি গঠনের জন্য প্রোটিন খুবই জরুরি। এছাড়া রয়েছে ভিটামিন, লিনোলেনিক এসিড ও ফেনোলিক এসিড। এছাড়া ডিম,ডাল, মাছ ,দুধজাতীয় খাবার , মাংস, বাদাম, প্রোটিনের প্রধান  উৎস। তাই এ ধরনের খাবার খান প্রতিদিন দরকার।


মটরশুটি ও বরবটি: মটরশুটিতে রয়েছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট। প্রয়োজনীয় ক্যালোরির একটি বড় অংশ জুড়ে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ফাইবার, মিনারেল এবং দ্রবণীয় ভিটামিন। বরবটি সবজি এবং এর বীজ বা ডাল সবকিছুতেই রয়েছে পুষ্টি। মিষ্টি ও আঁশজাতীয় খাবার থেকে পাওয়া যায় কার্বোহাইড্রেট। উচ্চ মাত্রার কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন রয়েছে এতে।


পাতাসহ পেঁয়াজ:ডগা, ফুলে, পাতাসহ বিভিন্ন ধরনের পেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, কে । এছাড়া এতে এ্যান্টি অক্সিডেন্টও থাকে।


ধনিয়া পাতার গুড়ো:শুকনো ধনিয়া পাতার গুড়ো পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে ক্যারোটিন ওয়েটস্ যা জ্বর , হজমের সমস্যা, বুকের ব্যাথা এবং কাশি উপশমে সাহায্য করে।


মরিচ: মরিচের রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফাইটোকেমিক্যাল যেমন- ভিটামিন সি, ই এবং এ থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ভিটামিন সি। এছাড়া তারুণ্য ধরে রাখতেও প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখা যায় ভিটামিন সিযুক্ত খাবার। সবুজ শাকসবজি খেলে পূরণ হবে ভিটামিন সি-এর চাহিদা।একই সঙ্গে থাকে বিভিন্ন ধরনের ফ্যানোলিক উপাদান এবং ক্যারোটিন ওয়েটস্। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মরিচ যেমন কাঁচা মরিচ, ইয়ালাপিনোতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।


পুদিনা পাতা:পুদিনাতে আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাংগাল উপাদান।যা প্রধানত হৃদপিন্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে।


ডালিম: ডালিমে রয়েছে প্রদাহরোধী উপাদান আর প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্হোসায়ানিন।


পালং শাক:পালং শাকে ম্যাগনেসিয়াম, ফলেট,ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং আয়রন, বেটা ক্যরোটিন, জিজানিন থাকে। হিমায়িত পালং শাক মূলত স্যালাড তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। তবে তাজা শাকও কম নয়।


টমেটো:পাকা, কাঁচা দুই ধরনের টমেটোই প্রচুর পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। পাকা টমেটোতে  রয়েছে ভিটামিন এ,সি এবং ই, ফলিড, পটাশিয়াম। পাকা টমেটোর চেয়ে কাঁচা টমেটোতে বেশি পুষ্টিগুণ থাকে।


কলা:কলায় অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ডায়াবেটিক প্রতিরোধী উপাদান যা শরীরের জন্য খুবই ভালো।

আরও জানুন