n/a

ছবিঃ গুঁড়া চিংড়ি ভর্তা – মজাদার বাংলা খাবার.

2023-08-31 16:18:43

গুঁড়া চিংড়ি ভর্তা – মজাদার বাংলা খাবার

বাঙালী মানেই তো হল ভাত, ভর্তা আর ডালের সব রকমারি সম্ভারের খাবারের বেশ আয়োজন। এক প্লেট গরম ধোঁয়া উঠা ভাতের পাশে একটুখানি ভর্তা হলে কথাই নেই। সাথে যদি থাকে  তেলের মধ্যে ভাজা মুচমুচে ঝাল মরিচ আর ওপরে ছড়িয়ে দেওয়া হয় এক চামচ খাঁটি ঘী ,সে যেন অমৃত স্বাদ আহা!

যখন আমরা ক্ষুধার্ত থাকি ঠিক তখন এই খাবারটুকুই আমাদের কাছে অমৃত মনে হয়। আমাদের নিত্যদিনের খাবারের টেবিলে ভর্তা তো বটেই, তবুও নতুন বছর বরণে কিংবা অতিথি আপ্যায়নেও আমাদের বাঙ্গালীদের নানা ধরনের ভর্তার জুড়ি মেলা ভার।

গরম গরম ভাতের সঙ্গে ঝাল ঝাল চিংড়ি ভর্তা, শুনলেই জিভে পানি এসে যায়। পাতে ভর্তা থাকলে খাওয়াটা একদম জমে যায়, সাথে একটা শুকনো মরিচ আর পেঁয়াজ, ব্যস! ভর্তার প্রতি দুর্বলতাটা বাঙ্গালীর নতুন কিছু না। গরম গরম ভাতের সাথে ভর্তা এটা যেন অমৃত।

গরম ভাতের সঙ্গে ঝাল ঝাল ভর্তা হলে আর কিছুই লাগে না যেন। শীতের নানা রকম সবজি দিয়ে বিভিন্ন ভর্তার আইটেম করা হয়। গরম ভাতের সঙ্গে ভর্তা পেলে সত্যিই কি আর কিছু লাগে। আবার কেউ যদি পান্তাও খেতে চান, তবে সেটির সঙ্গে ভর্তা বেশ ভালোই লাগবে।

ভর্তা খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কম আছে। বাঙালির ভর্তা ভাত হলে সত্যিই আর কিছুই লাগে না।আর যত ঝালই হোক না কেন ভর্তা খেতে কম বেশি সবাই পছন্দ করে। ধোয়া উঠা  গরম গরম ভাতের সঙ্গে গুঁড়া চিংড়ি মাছের ভর্তা খেতে খুবই সুস্বাদু।

বাঙালি ভোজন বিলাসীদের কাছে ভালোবাসার আরেক নাম ভর্তা। আর গরম ভাতের সঙ্গে ঝাল ঝাল ভর্তা হলে তো কথাই নেই।গরম গরম ভাতের সঙ্গে ঝাল ঝাল চিংড়ি ভর্তা, শুনলেই জিভে পানি এসে যায়। পাতে ভর্তা থাকলে খাওয়াটা একদম জমে যায়, সাথে একটা শুকনো মরিচ আর পেঁয়াজ, ব্যস! 

বাহারি পদের ভর্তা বাঙ্গালীর ঐতিহ্যও বটে। কিন্তু অনেকেই বলে বাসায় ভর্তা বানানো নাকি ঝামেলার।  আমরা গুঁড়া চিংড়ি দিয়ে খুব সহজেই ভর্তা বানিয়ে নিতে পারি। আর চিংড়ি তো আমাদের এমনিতেই অনেক পছন্দ। চলুন তাহলে জেনে নেই, মজাদার গুঁড়া চিংড়ি ভর্তার রেসিপি টি সম্পর্কে।


গুঁড়া চিংড়ি ভর্তা তৈরির প্রণালী উপকরণ

  • ছোট চিংড়ি- ২৫০ গ্রাম
  • পেঁয়াজের কলি- ১/২ কাপ
  • পেঁয়াজ কুঁচি- ১ টেবিল চামচ
  • রসুন– ৪ কোঁয়া
  • শুকনো মরিচ- ৩ টি
  • ধনেপাতা কুঁচি- ৩ টেবিল চামচ
  • সরিষার তেল- ২ টেবিল চামচ
  • টেলে রাখা জিরে গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ
  • লবণ- পরিমাণমতো

প্রস্তুত প্রণালী

  • প্রথমে চিংড়ি মাছ বেছে ভালো করে ধুয়ে নিন। খোসা সহ রাখতে পারেন।
  • এরপর চিংড়িগুলো সরিষার তেলে মচমচে করে ভেজে তুলে রাখতে হবে। এই তেলেই ভর্তা হবে যাতে চিংড়ির সুঘ্রাণ থাকবে।
  • কড়াইয়ে অবশিষ্ট সর্ষের তেলে পেঁয়াজের কলি, শুকনো মরিচ, থেঁতো করে রাখা রসুন কোঁয়া ও পেঁয়াজ কুঁচি ভালোভাবে ভেজে নিন। অনেকে ভর্তায় কাঁচামরিচের ফ্লেবার পছন্দ করেন, তারা শুকনো মরিচের বদলে কাঁচামরিচ দিতে পারেন।
  • এবার টেলে রাখা জিরে গুঁড়ো সহ ভেজে রাখা বাকি উপকরণগুলো মিক্সার গ্রাইন্ডারে পেস্ট বানিয়ে নিন। খুব বেশি মিহি না হলেও হবে। চাইলে শিল নোড়া বা পাটায় বেঁটে নিতে পারেন।

কত্ত সহজ না! ঝটপট তৈরী হয়ে গেল মজাদার গুঁড়া চিংড়ি ভর্তা । পরিবেশনের আগে বাটা চিংড়ি ভর্তাকে ধনিয়া পাতা আর সেই চিংড়ি ভাজার সরিষা তেল দিয়ে মাখিয়ে হাতের সাহায্যে ছোটো ছোটো গোল গোল করে সাজিয়ে নিন । গরম গরম ভাতের সাথে দারুণ জমে যাবে এই মজাদার গুঁড়া চিংড়ি ভর্তাটি ।



চিংড়ি মাছের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

  • চিংড়ি সাধারণত আমাদের হার্টের সুস্থতা রক্ষা করে ।  শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে থাকে চিংড়ি । চিংড়ি হাড়ের গঠনকে অনেক  উন্নত করে। চিংড়ি শরীরে ভিটামিন-১২ এর অভাবজনিত সমস্যা দূর করে এবং খনিজ উপদানের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে । চিংড়ি আমদের শরীরের অতিরক্ত ওজন কমাতে সহায়তা করে এবং চিংড়ির মধ্যে রয়েছে  বিভিন্ন পুষ্টির উপাদানের ভাণ্ডার ।
  • চিংড়িতে আছে প্রচুর পরিমাণে সেলেনিয়াম যা স্বাস্থ্যের ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। অর্থাৎ ক্যান্সার প্রতিরোধে চিংড়ি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এতে বোঝা যায় চিংড়ি মাছের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ যতেষ্ট।
  • চিংড়িতে আছে প্রোটিন ফ্যাট, এবং মিনারেলসের একটি সুষম অনুপাত যা আমাদের শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ভাল। প্রোটিন ফ্যাট, এবং মিনারেলস আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।  নিয়মিত চিংড়ি খেলে এ ভিটামিন গুলোর চাহিদা পূরণ হবে।
  • হৃৎপিণ্ড ভাল রাখতে সাহায্য করে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাদ্য।ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং এটি লিভারের পক্ষেও ভাল কাজ করে।
  • প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই পাওয়া যায় চিংড়িতে। ফলে পরিমিত পরিমাণ চিংড়ি নিয়মিত খেলে ত্বক ভাল থাকে এবং ত্বকের ঔজ্জ্বল্য দিন দিন বাড়ে।
  • ক্যালসিয়ামের উৎস হিসাবে চিংড়িকে ধরা হয়। আর ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য আমাদের দাঁত ও হাড় গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা করে।
  • অন্যান্য অনেক মাছ এবং মাংসের তুলনায় চিংড়িতে ক্যালোরির পরিমাণ অনেকটা কম আছে। আর যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাঁরা নিয়মিত চিংড়ি বেশি করে খেলেও ওজন বাড়ার আশঙ্কা কম থাকে।
  • ভিটামিন বি-১২ পেয়ে থাকি চিংড়িতে । তবে বিশেষ ভিটামিনটি স্মৃতিশক্তি প্রখর রাখতে সাহায্য করে এবং হৃৎপিণ্ড ভাল রাখে।
  • প্রচুর পরিমাণ প্রোটিনের উৎস হল চিংড়ি আর প্রোটিন শরীরের একটি প্রয়োজনীয় উপকরণ। আমাদের শরীরে কোন ক্ষত সৃস্টি হলে,প্রোটিনের অভাব হলে সারতে দেরি হয়।
  • আর চিংড়িতে থাকা প্রোটিন শরীরের যেকোন ক্ষত দ্রুত সারাতে সাহায্য করে। এতে বোজা যায় চিংড়ি মাছের পুষ্টিগুণ অনেক রয়েছে।

সাবধানতা

যাদের শরীরে এলার্জি রয়েছে বা চিংড়িতে যাদের এলার্জি আছে তাদের চিংড়ি মাছ পরিহার করাই উত্তম ।



আরও জানুন