ছবিঃ পটলের ভর্তা – মজাদার বাংলা খাবার.
2023-08-11 06:18:53
পটলের ভর্তা – মজাদার বাংলা খাবার
ভর্তা বাঙ্গালিদের খুবই পছন্দনীয় একটি খাবার । অনেক ধরনের ভর্তাই আমরা খেয়ে থাকি । পাতে ভর্তা থাকলে খাওয়াটা একদম জমে যায় , সাথে একটা শুকনো মরিচ আর পেঁয়াজ, ব্যস ! ভর্তার প্রতি দুর্বলতাটা বাঙ্গালীর নতুন কিছু না । গরম গরম ভাতের সাথে ভর্তা এটা যেন অমৃত । গরম ভাতের সঙ্গে ঝাল ঝাল ভর্তা হলে আর কিছুই লাগে না যেন । শীতের নানা রকম সবজি দিয়ে বিভিন্ন ভর্তার আইটেম করা হয় । গরম ভাতের সঙ্গে ভর্তা পেলে সত্যিই কি আর কিছু লাগে । আবার কেউ যদি পান্তাও খেতে চান , তবে সেটির সঙ্গে ভর্তা বেশ ভালোই লাগবে । বাহারি পদের ভর্তা বাঙ্গালীর ঐতিহ্যও বটে । কিন্তু অনেকেই বলে বাসায় ভর্তা বানানো নাকি ঝামেলার । পটল দিয়ে আমরা ভিন্ন ভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি । যেমন- পটল ভাজি, ভর্তা, ঝোল নানাভাবে খাওয়া যায়,পটলের দোলমা, পটলের কোর্মা, পটল পোস্ত কিংবা ইলিশ-পটল বেশ জনপ্রিয় । আজকে আমরা আপনাদের পটলের তৈরি ভিন্ন একটি আইটেমের রেসিপি দেখাবো । মজাদার আইটেমটি হচ্ছে পটলের ভর্তা । আজকে আমরা আপনাদের পটলের ভর্তা তৈরির পদ্ধতি জানাবো । চলুন তাহলে জেনে নেই পটলের ভর্তা কিভাবে খুব সহজেই অল্প সময়ে তৈরি করে নিবেন ।
পটলের ভর্তা তৈরির পদ্ধতি
উপকরণ
- পটল সেদ্ধ খোসা ছাড়া- ১.৫ কাপ
- চিংড়ি মাছ সেদ্ধ- ৫-৬টি
- সর্ষে বাটা- ১ চা চামচ
- রসুন- ১ কোয়া
- শুকনা মরিচ ভাজা- ৩-৪ টি
- পেঁয়াজ কুঁচি- ১.৫ টেবিল চামচ
- লবণ- পরিমাণমতো
- ধনেপাতা- স্বাদমতো
প্রস্তুত প্রণালী
- প্রথমে একটি পাত্রে সেদ্ধ পটল, সরষে বাটা ও চিংড়ি মাছ ভালো করে মিশিয়ে নিন ।
- তারপর একটি প্যানে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ ও রসুন হালকা বাদামী করে ভেজে নিন ।
- ভাজা পেঁয়াজ ও রসুন পটলের মধ্যে দিয়ে মিশিয়ে নিন ।
- মিশানো হলে গেলে তাতে শুকনা মরিচ, লবণ ও ধনেপাতা দিয়ে মাখিয়ে পরিবেশন করুন ।
গরম ধোয়া উঠা ভাতের সাথে খেতে খুব ভালো লাগে এই মজাদার পটল ভর্তা । দেরি না করে আজই তৈরি করুন এবং উপভোগ করুন মজাদার পটল ভর্তা ।
পটল একটি বহুগুন পুষ্টিকর খাদ্য । পটলে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ১, ভিটামিন বি ২ ও ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে । পটলের বিচিও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী । পটল আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে এবং মল নির্গমনে বিশেষ সাহায্য করে । যারা নিয়মিত পটল খান তাদের রক্ত পরিষ্কার থাকে । পটলের ছোট ছোটো গোলাকার বিচি গুলো কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগারের মাত্রা প্রাকৃতিক ভাবে কমাতে সাহায্য করে । গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে পটল কার্যকরী ভূমিকা পালন করে ।