n/a

ছবিঃ বাচ্চাদের কানের ব্যাথা কারণ ও প্রতিকার.

2022-10-28 05:58:14

বাচ্চাদের কানের ব্যাথা কারণ ও প্রতিকার

মানবদেহে কান হচ্ছে একটি বিশেষ অঙ্গ, যা অন্যান্য অঙ্গের মতো গুরুত্বপূর্ণ। তাই কানের যত্ন নেওয়া জরুরি।শিশুরা বেশি কানব্যথায় ভোগে। বেশিরভাগ ব্যথার জন্য দায়ী ইনফেকশন।


দুই বছর বয়সে পৌঁছানোর আগেই বেশিরভাগ শিশুর কমপক্ষে একবার কানে ইনফেকশন হয়। ৬ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে কানের ইনফেকশন সবচেয়ে বেশি হয়।


কানে ব্যথার কারণ :

  • ঠাণ্ডা বা সর্দি-কাশি থেকে নাক এবং কানের সংযোগ টিউব ব্লক থেকে পর্দার ভেতরের দিকে তরল পদার্থ জমা হয়। এ সময় পর্দা ফুলে ওঠে ও ব্যথা হয়।
  • কানের খৈলের মেডিকেল নাম সেরুমেন।অনেক বাবা-মা কটন বাড দিয়ে কান পরিস্কার করে থাকেন, যা ঠিক নয়। কারণ, এতে ময়লা আরও ভেতরের দিকে চলে যায়।
  • কানের পর্দার বাইরে এয়ার ক্যানেলে সংক্রমণ হলে ব্যথা হয়, যাকে অটাইটিস এক্সটার্না বলে।আর কানের ভেতরে লোমের গোড়ায় ইনফেকশন হলে কানে ব্যথা হয়, যাকে ফারানকুলোসিস বলে।
  • কানের ভেতরে বহিঃকর্ণ বা কানের পর্দা কাঠি বা কটনবাড দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হলে। কানের পর্দা ফেটে গেলে কানে প্রচুর ব্যথা হয়।
  • গলাব্যথা বা টনসিলের ইনফেকশন হলে, অথবা দাঁতে ব্যথা হলে। এক্ষেত্রে কানে কোনো সমস্যা নেই কিন্তু একই স্নায়ুর কারণে গলার ব্যথা/দাঁতে ব্যথার জন্য কানে ব্যথা হয়ে থাকে।

চিকিৎসা

কান ব্যথাকে অবহেলা না করে চিকিৎসা করা জরুরি।শিশু কানের ব্যথায় অস্থির হলে, ঘাড় শক্ত হলে, ক্লান্ত হয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়লে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আর ওষুধ খাওয়ালেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াতে হবে।


কীভাবে কানের ব্যথা থেকে শিশুকে রক্ষা করবেন-

  • কানের ভেতরে কটন বাড কিছু দিয়ে আঘাত করা যাবে না।
  • জন্মের পর ১ বছর শিশুদের ঠান্ডা লাগা থেকে বিরত রাখতে হবে।
  • অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, ঘুমন্ত ও শুয়ে থাকা অবস্থায় শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানো যাবে না। ঘুমন্ত অবস্থায় শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ালে তা নাক দিয়ে ঢুকে কানে ইনফেকশন করতে পারে।
  • শিশুদের পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
  • শিশুদের সামনে ধূমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • শিশুদের বুকের দুধ সঠিক নিয়মে বসিয়ে খাওয়াতে হবে। বুকের দুধে যে অ্যান্টিবডি আছে তা কানের ইনফেকশন দূর করে। জন্মের পর প্রথম ৬ মাস মায়ের বুকের দুধে সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিবডি উপস্থিত থাকে।
  • নাকের সঙ্গে কানের সংযোগকারী টিউব ব্লক হয়ে কানের সংক্রমণ হতে পারে, তাই এরকম সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা করাতে হবে।

আরও জানুন-