ছবিঃ রুপচর্চায় হলুদের কার্যকারী ব্যবহার.
2023-08-11 06:19:15
রুপচর্চায় হলুদের কার্যকারী ব্যবহার
প্রাচীনকাল থেকেই হলুদ নানাভাবে রূপচর্চায় ব্যবহৃত হচ্ছে। হলুদ একটি আয়ুর্বেদিক উপাদান। রূপচর্চায় হলুদ বিভিন্ন ভাবে ব্যবহৃত হয়। হলুদের বিভিন্ন ফেইস প্যাক ত্বকের জন্য বেশ উপকারি। রান্নার পাশাপাশই রূপচর্চায়ও এর ভূমিকা অনেক। চলুন হলুদের কয়েকটি ফেইস প্যাক সম্পর্কে জেনে নেই।
হলুদ ও ময়দা:
যে কোনো ধরনের ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক স্ক্রাব তৈরি করতে হলুদ ও ময়দা মিশিয়ে নিতে পারেন। হলুদ ত্বকের জন্য বেশ সংবেদনশীল ও উপকারি। ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল কমায়।হলুদ ও ময়দার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। উজ্জ্বল ও কোমলত্বক পেতে এই মিশ্রণটি ত্বকে লাগান এবং শুকিয়ে গেলে ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন।
হলুদ ও লেবুর রস:
লেবুতে আছে ব্লিচিং উপাদান এবং হলুদে আছে ত্বক উজ্জ্বল করার উপাদান। ত্বক উজ্জ্বল করতে হলুদের গুঁড়া ও লেবুর রস মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
হলুদ ও দুধ:
ত্বকের ক্ষতি করে এমন উপাদানের বিরুদ্ধে কাজ করে হলুদ ও দুধের মিশ্রণ ত্বককে সুস্থ রাখে।কাঁচাদুধের সঙ্গে হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে মুখ ও গলায় লাগাতে পারেন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
হলুদ ও মধু:
ত্বকের ভেতরের আর্দ্রতা রক্ষা করে এবং উজ্জ্বল ত্বক ফুটিয়ে তুলতে হলুদ ও মধুর মিশ্রণ সাহায্য করে।মধুতে আছে প্রাকৃতিক ভাবে ত্বক আর্দ্র রাখার ক্ষমতা যা ত্বক উজ্জ্বল করে। মধুও হলুদের তৈরি প্যাক ত্বক স্বাভাবিকভাবে চকচকে উজ্জ্বল ও সুন্দর মোলায়েম করে তোলে।
হলুদের সঙ্গে লেবুররস ও মধু:
এই মিশ্রণ ত্বক ব্রণ মুক্ত রাখতে ও ত্বকের নির্জীবতা দূর করতে সাহায্য করে।হলুদে, লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে মুখ এবং গলায় ব্যবহার করুন। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে উজ্জ্বল ভাব বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্রণও দূর হবে এবং ত্বক সতেজ থাকবে।
হলুদ ও নারিকেল তেল:
হলুদ ও নারিকেল তেলেআছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। তাছাড়া নারিকেলের তেল খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজকরে।খাঁটি নারিকেল তেলের সঙ্গে হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে ত্বকে লালচেভাব, সংক্রমণ ওশুষ্কতা কমাতে ব্যবহার করা যায়। ত্বক পরিষ্কার করে মুছতে পাতলা ভেজা কাপড় ব্যবহার করলেত্বককে বেশ প্রাণবন্ত মনে হবে। হলুদ ও পানি: ত্বকের অবাঞ্ছিত লোমেরবৃদ্ধি কমাতে প্রতিদিন হলুদ ও পানির মিশ্রণ তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।যে স্থানে অবাঞ্চিত লোমের বৃদ্ধি কমাতে চান সেখানে হলুদ ও পানির মিশ্রণ তৈরিকরে একটি অসমতল ও পরিষ্কার বস্তুর সাহায্যে ঘষতে হবে। শুকিয়ে এলে তা পরিষ্কার পানিরসাহায্যে ধুয়ে ফেলতে হবে। পার্থক্য দেখতে যতবার সম্ভব এটি করতে পারেন।
হলুদ ও জলপাইয়ের তেল:
হলুদে আছে নানা ধরনেরঅ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বক তরুণ ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে। জলপাইয়ের তেল ত্বকের স্থিতিস্থাপকতারক্ষা করে।হলুদ ও জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে তা মুখ ও গলায় লাগান। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে হালকামালিশ করুন। এতে নতুন কোষ বৃদ্ধি পাবে। পানি দিয়ে ধুয়ে নমনীয় ত্বক অনুভব করতে পারবেন।