n/a

ছবিঃ সুস্বাদু মুলার ভর্তা বানানোর কৌশল.

2023-08-11 06:18:09

সুস্বাদু মুলার ভর্তা বানানোর কৌশল

ভর্তা আমার পছন্দের খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম । ভর্তা খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ পাওয়াও দুষ্কর । ভর্তার প্রতি দুর্বলতাটা বাঙ্গালীর নতুন কিছু না । গরম গরম ভাতের সাথে ভর্তা এটা যেন অমৃত। গরম ভাতের সঙ্গে ঝাল ঝাল ভর্তা হলে আর কিছুই লাগে না যেন । শীতের নানা রকম সবজি দিয়ে বিভিন্ন ভর্তার আইটেম করা হয় । গরম ভাতের সঙ্গে ভর্তা পেলে সত্যিই কি আর কিছু লাগে । আবার কেউ যদি পান্তাও খেতে চান , তবে সেটির সঙ্গে ভর্তা বেশ ভালোই লাগবে । বাহারি পদের ভর্তা বাঙ্গালীর ঐতিহ্যও বটে । কিন্তু অনেকেই বলে বাসায় ভর্তা বানানো নাকি ঝামেলার ।  অনেক পদের ভর্তাই আমরা খেয়ে থাকি । গরম ভাতের সাথে ভর্তা খাওয়ার মজাই আলাদা । ভর্তা প্রেমীদের জন্য আজকে আমরা দেখাবো মুলার ভর্তা বানানোর রেসিপি । খুবই মাজাদার এই মুলার ভর্তাটি । মুলা খেতে যারা পছন্দ করে না তাদেরও ভালো লাগবে মজাদার এই মুলার ভর্তাটি । চলুন তাহলে দেখে নেই মুলার ভর্তা তৈরির পদ্ধতিটি ।


মুলার ভর্তা তৈরির পদ্ধতিঃ


উপকরণ:


  • মুলা ১টি
  • যেকোনো বড় মাছ ১ টুকরা
  • পেঁয়াজ কুঁচি আধা কাপ
  • লবণ পরিমাণ মতো
  • শুকনা মরিচ ৪টি
  • সরিষার তেল পরিমাণ মতো
  • ধনে পাতা কুঁচি ২ চা চামচ।

প্রণালী:


  • প্রথমে একটি মুলা গ্রেটারে ভালো করে কুচি করে লবণ মাখিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে । এবার একটি পাত্রে মাছের কাঁটা ছাড়িয়ে রাখতে হবে ।
  • আরেকটি পাত্রে মুলা কুঁচিগুলো ভালো করে পানি ঝাড়িয়ে নিতে হবে ।
  • সবশেষে মুলা কুঁচির সঙ্গে একে একে মাছ , পেঁয়াজ কুঁচি, লবণ, শুকনা মরিচ, সরিষার তেল ও ধনেপাতা কুঁচি দিয়ে ভালো করে মেখে মাখিয়ে নিতে হবে ।

ব্যস ! তৈরি হয়ে গেল মজাদার সুস্বাদু মুলার ভর্তা । গরম ধোয়া উঠা ভাতের সাথে খেতে খুব ভালো লাগে মুলার ভর্তাটি। তাই দেরি না করে আজই তৈরি করে ফেলুন  এবং পরিবারের সকলের সাথে উপভোগ করুন মজাদার মুলার ভর্তা ।


মুলায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পটাশিয়াম, যা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে । প্রস্টেট , কিডনি ব্লাডার এবং ডাইজেস্টিভ ট্র্যাকে জমে থাকা ক্ষতিকর উপাদান গুলো  শরীর থেকে বের করে আমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলোর কর্মক্ষমতা বাড়াতে মুলা বিশেষ ভূমিকা পালন করে । মুলার রসে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্থোসায়ানিন যা আমাদের  শরীরে ক্যানসার সেলেরে জন্ম এবং বৃদ্ধির আটকাতে সাহায্য করে । কিডনি স্টোনের আশঙ্কা কমাতেও মুলার রস অনেক ভাবে সাহায্য করে থাকে । মুলায় প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকায় প্রতিদিন মুলার রস খেতে পারলে , দেহের ভিতরে আঘাতের কারণে হওয়া জ্বালা-যন্ত্রণা কমতে শুরু করে , কিডনির প্রদাহ এবং ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফ্লেমেশন ও কমে যায় ।


আরও জানুন-