n/a

ছবিঃ বর্ষার মৌসুমে মেঝের যত্নের সহজ কৌশল.

2023-08-11 06:19:28

বর্ষার মৌসুমে মেঝের যত্নের সহজ কৌশল

এখন বর্ষার মৌসুম। সকালের শুরুটাই হয় বৃষ্টি দিয়ে, তারপর সারাদিন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পরতেই থাকে।মেঝের স্যাঁতসেঁতে আর গুমোট ভাব, সঙ্গে সোঁদা গন্ধ ঘরের মধ্যে বাড়িয়ে দেয় বাড়তি ঝামেলা। বর্ষায় ঘর খুব সহজেই এবং তারাতারি নোংরা হতে পারে। বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই বেড়ে যায় । বাড়িঘর অপরিষ্কার এবং নোংরা থাকলেও অনেক ধরনের রোগ জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। এই কারণে বর্ষার সময় বাড়িঘর পরিষ্কার ও সুরক্ষিত রাখা খুব  প্রয়োজন। তাই বর্ষায় মেঝেতে উপযুক্ত ম্যাট বা মাদুর ব্যবহার করতে হবে । বাড়ির সামনের প্রতিটি দরজায় ও প্রতিটি ঘরে প্রবেশ করার মুখে ওয়াশেবল ম্যাট রাখতে হবে। বিশেষ করে বাথরুমের সামনে অ্যান্টি স্কিড ম্যাট রাখতে হবে। বর্ষায় জানালা বা দরজা দিয়ে পানি ভেতরে ঢোকার আশঙ্কা থাকলে সুতির পুরনো কাপড় বা চট বর্ষায়  সময়টাতে বিছিয়ে রাখতে হবে এবং সহজেই পানি শুষে নেবে । বৃষ্টি থেমে গেলে জায়গাটা শুকনো করে মুছে নিন। তাই বর্ষাকালে ঘরবাড়ির বিশেষ যত্ন নিতে হয়।


মেঝের যত্নঃ

  • ঝিরিঝিরি বৃষ্টি বা তীব্র বৃষ্টিতে ঘরের মেঝে প্রায় সময়েই স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থায় থাকে। তাই এই ঝামেলা এড়াতে মেঝেতে বিছিয়ে দিতে পারেন ম্যাট অথবা কার্পেট। যদিও শুধু ম্যাট অথবা কার্পেট বিছিয়ে দিলেই চলবে না, তা নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রতিদিন কাপড় ভিজিয়ে ম্যাট পরিষ্কার করুন। তারপর ফ্যাট চালিয়ে ম্যাট অথবা কার্পেটি শুকিয়ে নিন।
  • বৃষ্টির কারনে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে ঘর বেশি জীবাণুযুক্ত হয়। তাই ঘরকে শুধু বাহ্যিকভাবেই নয় প্রকৃতপক্ষে পরিষ্কার রাখতে ফিনাইল ব্যবহার করুন। ঘর মোছার সময় ফিনাইলের ব্যবহার ঘরকে জীবাণুমুক্ত করবে এবং ঘরের স্যাঁতস্যাঁতেভাব কিছুটা হলেও কমিয়ে আনবে।
  • বর্ষার সময় বাইরে থেকে আসা মানুষের জুতার ময়লায় ঘর সবচেয়ে বেশী নোংরা হয়। তাই এই সমস্যা দূর করতে ঘরের দরজার পাশেই একটা পাপোশ রেখে দিন, এর সেই সাথে দরজার পাশেই রাখুন একটি জুতা রাখার রেক। এতে ঘরের মেহমানরা ঘরের ভিতরে প্রবেশের আগেই তাদের জুতা পাপোষে মুছে রেকে রেখে দিবে। যার ফলে আপনার ঘর ময়লা হওয়া থেকে অনেকাংশেই বেঁচে যাবে।
  • যাদের বাসায় কাঠের মেঝে, তাদের বিশেষ নজরদারি রাখতে হবে । খেয়াল রাখতে হবে, কাঠের মেঝে আর্দ্রতামুক্ত আছে কিনা। বর্তমানে বেশির ভাগ বাসার মেঝে মোজাইক দিয়ে তৈরি করা। প্রতিদিন পানি দিয়ে মোছার পাশাপাশি সপ্তাহে একদিন লিকুইড ক্লিনার দিয়ে মেঝে পরিষ্কার করতে হবে।
  • বর্ষাকালে রান্নাঘরের মেঝে বেশি ময়লা আর তেল চিটচিটে হয়। সপ্তাহে একদিন গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে মেঝে পরিষ্কার করলে মেঝের তেল চিটচিটে ভাব দূর হয়। বর্ষাকালে ঘরের কোণে নানা ধরনের পোকা-মাকড় বাসা বাঁধে। তাই ছোট পাতলা কাপড়ে কালোজিরা পুঁটলি বেঁধে ঘরের কোনায় বা যেখানে পোকা-মাকড় বাসা বাঁধে সেসব স্থানে রাখলে পোকা-মাকড়ের উপদ্রব দূর হবে।
  • ডাস্টবিনে এক চামচ লবণ ফেলে রাখুন দুর্গন্ধ কম হবে। রান্নাঘরের ডাস্টবিনে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে ডাস্টবিনে ফেলুন। আরশোলার উপদ্রব কমাতে  প্রতিদিন রাতে রান্নাঘরের বেসিনে অল্প গরম পানি ঢালুন,  আরশোলার উপদ্রব আর হবে না। 
  • বর্ষায় লবণ গলে যাওয়ার সমস্যা সবাইকে পোহাতে হয়। তাই বর্ষায় লবণ ঝরঝরে রাখতে হলে লবণের কৌটায় ৫/৬ টা লবঙ্গ দিয়ে রাখুন। বেসন, সুজি  ও ডাল মাইক্রোওয়েভে ২-৩ মিনিট গরম করে অথবা অল্প তাপে শুকনো খোলায় কিছুক্ষণ নেড়ে নিন। এরপর এয়ার টাইট কন্টেইনারে রেখে দিন তাহলে আর ফাঙ্গাস  সৃষ্টি হবে না । 
  • বিস্কিট বা মুড়ি,পাঁপড় মুচমুচে রাখতে মুড়ির কৌটায় ব্লটিং পেপার রেখে দিন।মসলিনের কাপড়ের মধ্যে অল্প পরিমাণে বিট লবণ পেঁচিয়ে বেঁধে বিস্কুটের কৌটার মধ্যে রেখে দিন। বিস্কুট মচমচে থাকবে। 
  • এয়ার টাইট কন্টেইনারে দেশলাই  রাখলে বর্ষায় সহজেই জ্বলবে। ধনে , গোলমরিচ, জিরা,এলাচ ইত্যাদির সঙ্গে শুকনো তেজপাতা রেখে দিন মসলা বর্ষায় ভালো এবং মুচমুচে  থাকবে।
  • বাড়িতে প্রায় সকলেই পাপোষ ব্যবহার করেন । বর্ষাকালে পাপোষের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত আবশ্যক। অন্যথায় পরিষ্কার থাকার পরিবর্তে বাড়ি সবসময় বেশি অপরিষ্কারই হবে । বৃষ্টির মৌসুমে শুকাতে দেরি হবে এমন পাপোষ ভুলেও ব্যবহার করবেন না। কার্পেটের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মেনে চলুন নাহলে বাড়িতে পোকামাকড়ের বিশেষ করে তেলাপোকার উপদ্রব হওয়াই স্বাভাবিক।

আরও জানুন